আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান এর নিখোঁজ এর ব্যাপারে মুখ খুললেন আজহারী | Sherashongbad

আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান এর নিখোঁজ এর ব্যাপারে মুখ খুললেন আজহারী | Sherashongbad

 


ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান রংপুর থেকে ঢাকা আসার পথে উনার ড্রাইভার এবং সফরসঙ্গী সহ মধ্যরাতে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। উনার গাড়িরও কোন খবর পাওয়া যায়নি। 


এই ব্যাপারে জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যার শিরোনাম ও লেখা নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-


॥দ্বা’য়ীদের পথ চলা মসৃণ হোক, হোক নিরাপদ॥


কুরআনের একজন দ্বা’য়ী দল-মত-জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছাবেন। দ্বা’য়ীর কাছে কোন ভেদাভেদ নেই। যিনি এই ভেদাভেদ করবেন, তিনি এই মহান দায়িত্বের মর্যাদা হানি করছেন।

.

একজন পটেনশিয়াল দ্বা’য়ীর দাওয়াতি এরিয়া গোটা বিশ্ব। নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ, মুসলিম-অমুসলিম, আস্তিক-নাস্তিক যে কেউ তার অডিয়েন্স হতে পারে। সবার সাথেই তার সুসম্পর্ক থাকা উচিত। যতো বেশী মানুষকে আমরা কুরআনের কথা শুনাতে পারবো এবং ইসলামের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারবো— ততো বেশী মানুষ সত্যকে চিনতে পারবে। সঠিক জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে পারবে।

.

একজন ডাক্তার যেমন সবাইকে চিকিৎসা দেয়, ঠিক তেমনি একজন দ্বা’য়ীও কুরআনের আলো দিয়ে সবাইকে আলোকিত করবেন, পরম মমতায় সবাইকে আগলে রাখবেন। তাই, দ্বা’য়ীদের দলীয় সংকীর্ণতায় আবদ্ধ রাখা বা তাদের কোন দলের ট্যাগ লাগানো অনুচিত। এতে দাওয়াতি অঙ্গনে তার সার্বজনীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

.

একজন দ্বা’য়ী হবে ইনক্লুসিভ, একোমডেটিভ এবং আউটগোইং। তার কাজের ক্ষেত্র হবে সু-প্রশস্ত যাতে তিনি নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে বাণী বাহকের কাজ করে যেতে পারেন, কল্যাণের বাণী জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারেন, প্রাণবন্ত মনে কথা বলতে পারেন এবং কনস্ট্রাকটিভলি সবার কাছে ইসলামের সুমহান শাশ্বত বাণী স্মোথলি তুলে ধরতে পারেন। মিম্বারে কিংবা মঞ্চে, অনলাইনে কিংবা অফলাইনে, কী বোর্ডে কিংবা ক্যামেরার সামনে— সবখানে একজন দ্বা’য়ীর অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

.

সংকীর্ণ মানসিকতা, দলান্ধতা ও মতান্ধতা দ্বা’য়ীদের কাজের ক্ষেত্রকে সংকুচিত করে এবং তাদের কাজের আউটপুটও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। অহিংসা, উদারতা এবং সকলের প্রতি হিতাকাঙক্ষামূলক মানসিকতা— একজন দ্বা’য়ীকে নিয়ে যেতে পারে অনন্য উচ্চতায়, যা কিনা হতে পারে লাখো মানুষের হেদায়েতের মাধ্যম এবং গোটা জাতি পূনর্গঠনের উপলক্ষ।

.

হাল আমলে কোন কোন দ্বা’য়ী নিঁখোজ হচ্ছেন, অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কারো দাওয়াতি অভিযাত্রা আটকে দেয়া হচ্ছে এবং কাউকে পরিকল্পিতভাবে সমালোচিত করা হচ্ছে। উন্মুক্ত পৃথিবী যেন দিনকে দিন কুরআনের দ্বা’য়ীদের জন্য সংকুচিত হয়ে উঠছে, যা মোটেও কাম্য নয়। যে দেশে গুণীজনদের কদর করা হয়না, সে দেশে গুণীজন জন্মায়না।

.

তাই, কুরআনের দ্বা’য়ীদের বলতে দিন। তাদের থামিয়ে না দিয়ে, সমর্থন দিন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post