বিয়ের বয়স হচ্ছে বিয়ে করতে হবে। আজ হোক আর কাল হোক কাউকে না কাউকে জীবনসঙ্গীনী করে ঘরে তুলতে হবে। জীবনের বাকি সময় যার সাথে কাঁটাবেন সে কেমন হবে?
বিয়ে করার ক্ষেত্রে অনুমান অনেক ক্ষেত্রে কাজে লাগে, কিন্তু সবক্ষেত্রে অনুমান সঠিক হয় না । উদাহরণ স্বরূপ: মেয়েরা অনুমান করে যে তাকে যত সুন্দর দেখাবে, ছেলেরা তাকে তত পছন্দ করবে। অনুমানটি অনেকাংশে সত্যি, কিন্তু সৌন্দর্য ছাড়াও, আরও অনেক কিছু আছে, যা ছেলেরা পছন্দ করে।
১. সরলতা : ছেলেরা সাধারণত সহজ –সরল মেয়েকে পছন্দ করে । যদিও ছেলেরা খুব ভাবুক/ফ্যাশনেবল মেয়েদের সাথে মেশে এবং তাদের প্রতি অনেক উৎসাহী হয় তবুও তাদের সাথে প্রেম করে না বা প্রেম করলেও তা শুধু মাত্র সময় কাটানোর জন্য করে।
২. নিরবতা এবং কোমলতা : ছেলেরা সাধারণত সেইসব মেয়েকে অনেক বেশি পছন্দ করে যারা বেশিরভাগ সময় নিরব ও চুপচাপ থাকে, অনেক আস্তে আস্তে কথা বলে, অনেক নরম স্বভাবের ।
যেসব মেয়ে অনেক চিল্লা-পাল্লা করে, অনেক বেশি লাফ-ঝাপ করে বেড়ায়, কাজ কর্মে কোন পরিপাটি নেই, তাদেরকে ছেলেরা পছন্দ করে না।
৩. ফ্রেন্ডলীনেস ও হাসিখুশি ভাব : নরম স্বভাবের মানে এই নয় যে কারো সাথেই কথা বলে না। নরম স্বভাবের মানে হলো কারো সাথে গায়ে পরে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না, কিন্তু কেউ যদি নিজে থেকে এসে কিছু জিজ্ঞেস করে তবে অবশ্যই বলে। অর্থাৎ মিশুক কিন্তু গায়ে পড়া নয়।
এটা ছেলেদের একটি স্বভাব যে -যেসব মেয়েরা তাদের সাথে গায়ে পরে কথা বলতে আসে, তাদেরকে তার তেমন গুরুত্ব দেয় না।
আবার যে সকল মেয়েকে নিজে থেকে জিজ্ঞস করার পরও তারা উত্তর দেয় না , ছেলেরা তাদেরকে অহংকারী ভাবে ।
তাই, বোনেরা, এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
৪. শিক্ষা : একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারটি ছেলেদের পছন্দের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখত না। কিন্তু, যুগের পরিবর্তনে , শিক্ষা ছেলেদের পছন্দের ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক। যেমন: গার্মেন্টস এর একটা মেয়ে হাজার সুন্দরী হলেও, তার থেকে কম সুন্দরী একজন শিক্ষিত মেয়ের চাহিদা বেশি, অন্তত শিক্ষিত ছেলেদের কাছে।
৫. স্মার্টনেস : ছেলেরা স্মার্ট মেয়েদেরকে পছন্দ করে। স্মার্ট মানে যে ভীষণ ভাব নিয়ে চলতে হবে তা নয়, স্মার্ট মানে কাজে-কর্মে স্মার্ট। অর্থাৎ তাকে যে কাজটি করতে দেয়া হয়, সে কাজটিই সে বুদ্ধি দিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে করে।
৬. সততাঃ মেয়েরা ছেলেদের সাথে সত্যি কথা বলে না এবং কথা দিয়ে কথা রাখে না, ছলনা করে – ছেলেরা সাধারণত এটাই ভাবে। তাই যেসকল মেয়ে তাদের কথায় কাজে সৎ এবং কথা দিয়ে কথা রাখে ছেলেরা তাদেরকে বেশি পছন্দ করে।
৭. অন্যের প্রতি যত্নবান : ছেলেরা এমন একজনকে মনের মানুষ হিসেবে চায় যে তাকে অসুস্থতার সময়, বিপদের সময়, যত্ন নেবে, আদর করবে। তাই যেসকল মেয়েরা অন্যের সেবা করার ব্যাপারে উৎসাহী এককথায় মমতাময়ী, তাদেরকে ছেলেরা অগ্রাধীকার দেয় বেশি।
৮.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা : পরিষ্কার –পরিচ্ছন্ন মানুষকে সবাই পছন্দ করে, ছেলেরাও এর ব্যাতিক্রম নয়। অপরিষ্কার অধিক সুন্দরী মেয়ের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কম সুন্দরি মেয়েরও দাম বেশি।
যেমন : মেয়েরা অনেক সময় রূপচর্চা বেশি করতে গিয়ে মুখে ব্রণ বাঁধিয়ে ফেলে। মনে রাখতে হবে যে – ব্রণযুক্ত ফরসা মুখের চেয়ে ব্রণহীন শ্যামলা মুখের চাহিদা বেশি-এটা সব ছেলেদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
৯. চারিত্রিক বিশুদ্ধতা : উপরের সবকিছুর থেকে এটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আপনার রুপ , গুণ , মেধা সবই বিফলে যাবে যদি আপনার চারত্রিক বিশুদ্ধতা রক্ষিত না থাকে।
একটা ছেলের কাছে সবকিছুর থেকে একটা মেয়ের চরিত্র সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কোন মেয়ের চরিত্র খারাপ হলে কখনোই তাকে বিয়ে করে সুখী হওয়া যায় না। এটা ছেলেরাসহ সবাই বিশ্বাস করে। তাই চারিত্রিক বিশুদ্ধতা রক্ষা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়- সুন্দরী মেয়েদের চরিত্র খারাপ হয় । তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- প্লিজ , চরিত্রকে নষ্ট করে নিজের মনের সৌন্দর্যকে নষ্ট করবেন না, এতে আপনার বাইরের সৌন্দর্যের কোন মূল্য থাকবেনা।
সেরাসংবাদ ডেস্ক
Post a Comment