পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনায় বসেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইতালির রাজধানী রোমে ওমান দূতাবাসে এই আলোচনা শুরু হয়। এরআগে গত সপ্তাহে ওমানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।
কূটনীতি ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সামরিক হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন হুমকির ছায়ার মধ্যেই চলছে আলোচনা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ইরানি এক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, আলোচনার জন্য ওমানের দূতাবাসে উপস্থিত হয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এবং ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তবে তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো কথা হবে না। এর বদলে দুজন দুই রুমে বসবেন এবং একজন ওমানি কর্মকর্তা একজনের কথা আরেকজনের কাছে পৌঁছে দেবেন।
গত সপ্তাহে ওমানে যে বৈঠক হয়েছিল সেটিকে ইতিবাচক হিসেবে অভিহিত করেছিল তেহরান। প্রথম আলোচনায় আব্বাস আরগচি এবং স্টিভ উইটকোফ অল্প সময়ের জন্য কথা বলেন। কিন্তু চুক্তি নিয়ে তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি।
আজকের আলোচনার আগে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানি মন্ত্রী। ওই সময় তিনি জানান, ইরান সবসময় কূটনীতিতে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, “আলোচনায় যুক্ত সব পক্ষকে এই সুযোগটি গ্রহণ করে একটি যুক্তিসঙ্গত ও যৌক্তিক পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানো উচিত।” তিনি আরও বলেন, “এমন যে কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে ইরানের সার্বভৌমতাকে সম্মান জানাতে হবে। যেটির মাধ্যমে আমাদের ওপর আরোপিত অনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে এবং আমাদের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে যেসব ধোঁয়াশা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা হবে।”
গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার মস্কোতে যান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটন যদি বাস্তববাদী হয় তাহলে পারমাণবিক চুক্তি করা সম্ভব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন